রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পাঠানো ভিডিওবার্তায় দু’দেশের চলমান বাণিজ্য সম্পর্ক তুলে ধরে একথা বলেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশে শিল্প কাঁচামাল ও ভোক্তাসামগ্রী- যেমন তুলা, সয়াবিন ও গম রপ্তানি করতে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো শুল্ক দিতে হয় না।
ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লাখ লাখ যুবকের কর্মসংস্থানের জন্য প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বিশেষ প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও বিনিয়োগের ‘আশাব্যঞ্জক গন্তব্য’ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরেন।কেন আশাব্যঞ্জক তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দ্রুত সম্প্রসারণশীল দেশীয় বাজার ও ৪০০ কোটি লোকের বিশাল আঞ্চলিক বাজারের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংযোগই বাংলাদেশকে আকর্ষণীয় করেছে।
আর বিদেশি বিনিয়োগকে সহজ করতে বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে ভৌত, আইনি ও আর্থিক অবকাঠামোর উন্নতিসাধন করছে বলেও ভিডিওবার্তায় জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, দ্রুত শিল্পায়নের জন্য তার সরকার ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করছে। শিল্প কারখানা গড়তে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর জন্য নিবেদিত একটি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ আমরা তৈরি করে দিচ্ছি।
ভিডিওবার্তায় শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে যাত্রার শক্তিশালী অংশীদার’ হিসেবে বর্ণনা করেন।বলেন, এটি আমাদের রপ্তানির বৃহত্তম গন্তব্য, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, দীর্ঘকালের উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
প্রধানমন্ত্রী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ এর যে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছে তার কথাও ভিডিওবার্তায় তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাড়াতে ‘প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম’ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কেও ধন্যবাদ জানান।বলেন, বাংলাদেশ ৬০টিরও বেশি দেশে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানি করে, যেখানে শীর্ষ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।